তোমার কথা হেথা কেহ তো বলে না
রবীন্দ্র সংগীত
তোমার কথা হেথা কেহ তো বলে না করে শুধু মিছে কোলাহল
সুধাসাগরের তীরেতে বসিয়া পান করে শুধু হলাহল
আপনি কেটেছে আপনার মূল না জানে সাঁতার নাহি পায় কূল
স্রোতে যায় ভেসে ডোবে বুঝি শেষে করে দিবানিশি টলোমল
আমি কোথা যাব কাহারে শুধাব নিয়ে যায় সবে টানিয়া
একেলা আমারে ফেলে যাবে শেষে অকূল পাথারে আনিয়া
সুহৃদের তরে চাই চারিধারে আঁখি করিতেছে ছলোছল
আপনার ভারে মরি যে আপনি কাঁপিছে হৃদয় হীনবল।
কত দিনে হবে সে প্রেম সঞ্চার
নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়
কত দিনে হবে সে প্রেম সঞ্চার
হয়ে পূর্ণকাম বলব হরিনাম,
নয়নে বহিবে প্রেম-অশ্রুধার
কত দিনে হবে সে প্রেম সঞ্চার...
কবে হবে আমার শুদ্ধ প্রাণমন
কবে যাব আমি প্রেমের বৃন্দাবন
সংসার বন্ধন হইবে মোচন
জ্ঞানঞ্জনে যাবে লোচন আধার
কত দিনে হবে সে প্রেম সঞ্চার...
কবে পরশমণি করি পরশন
লৌহময় দেহ হইবে কাঞ্চন
হরিময় বিশ্ব করিব দর্শন
লুটাইব ভক্তি পথে অনিবার
কবে যাবে আমার ধরম-করম
কবে যাবে জাতি কুলেরও ভরম
কবে যাবে ভয় ভাবনা শরম
হরি হরি অভিমান লোকাচার
কত দিনে হবে সে প্রেম সঞ্চার...
মাখি সর্ব অঙ্গে ভক্ত পদধুলি
কাঁধে লয়ে চির বৈরাগ্যেরও ঝুলি
দিব প্রেম বারি দুই হাতে তুলি
অঞ্জলি অঞ্জলি প্রেম যমুনায়
প্রেমে পাগল হয়ে হাসিব কাদিব
সচ্চিদানন্দ সাগরে ভাসিব
আপনি মাতিয়ে সকলে মাতাব
হরি পদে নিত্য করিব বিহার
কত দিনে হবে সে প্রেম সঞ্চার...
১৮৮৫, ১৪ই জুলাই।বেলা ১টা হয়েছে। শ্রীরামকৃষ্ণ আহারান্তে আবার বৈঠকখানা ঘরে এসে ভক্তসঙ্গে বসে আছেন।এসময়ে শ্রীরামকৃষ্ণ ও অন্যান্য ভক্তদের অনুরোধে স্বামীজী নীলকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের এই গানটি সকলকে গেয়ে শুনিয়েছিলেন।
গানটির লিংক
গানের বাণী